নওগাঁয় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির সাথে জড়িত আন্তঃজেলা চোর চক্রের সাত সদস্যকে আটক করেছে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক মিটার ও চুরির কাজে ব্যবহৃত ৬ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) গাজিউর রহমান এতথ্য জানান। এর আগে রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার চকরামপুর (মৃধাপাড়া) গ্রামের ইউনুস হোসেন (২৪), আনন্দনগর (পশ্চিমপাড়া) এলাকার হারুনুর রশিদ হারুন (২৫),শহিদ মন্ডল (৩২), মাসুদ রানা (৩২), কাদোয়া বটতলা (পশ্চিমপাড়া) এলাকার রবিন সরদার (২৫),আশিক হোসেন (২৩) ও জয়পুরহাট জেলার শমুলিয়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৩০)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) গাজিউর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নওগাঁ, বগুড়া এবং জয়পুরহাট জেলায় বৈদ্যুতিক মিটার রাতের আধারে চুরি করে আসছিলো একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র। এবং মিটার চুরির পর তারা মিটার ফিরে পেতে ২টি করে মোবাইল ফোন নম্বর মিটার বক্সের মধ্যে রেখে যেতেন এবং এসব নাম্বারে ফোন করলে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে চাঁদা দাবি করতেন তারা।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর মোড়ে ১টি রাইস মিল হতে চোরেরা একটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করে। এছাড়াও গত ২৫ ডিসেম্বর একই উপজেলার ঘোষপাড়া মোড়ে রুমা লেদ ঘর এবং কুঞ্জবন বাজারের একটি লেদ ঘর থেকে ২টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। এ বিষয়ে নেজামুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি মহাদেবপুর থানায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির একটি এজাহার দিলে পুলিশ জড়িত চোরদের সনাক্তকরণ, গ্রেফতার, চোরাই বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার এবং মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান শুরু করলে পুলিশ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে মাটির নিচ হতে একটি বৈদ্যুতিক মিটার, বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে রাখা ৬টি মোবাইল ও সীম কার্ড জব্দ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) গাজিউর রহমান বলেন, গ্রেফতারের পর তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক মিটার চুরির কথা স্বীকার করে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপদ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফফর হোসেনসহ থানা পুলিশের অন্যান্য সদস্য বৃন্দরা।